চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক সিডিএ আবাসিক এলাকার ভেতরে নিয়ে চালককে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন চিনতাইকারী চক্র।
তবে খুব বেশিদিন আত্মগোপনে থাকতে পারেনি। পুলিশের তৎপরতায় বাশঁখালী থানাধীন বৈলছড়ি ইউনিয়নের (৪ নং ওয়ার্ড) পূর্ব বৈলছড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় চক্রের ২ সদস্য।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে। তবে ছিনতাই করা সিএনজি উদ্ধার করতে পারেনি কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
গ্রেফতার দুজন হলেন-বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে তারেক (৩০) এবং একই এলাকার মনির আহমদের ছেলে শাকিল (২৯)।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ছিনতাই হওয়া সিএনজি অটোরিকশাটির মালিক বাঁশখালী উপজেলার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাঁশখালী চেচুরিয়া এস.কে.বি ক্লাবের সামনে থেকে মইজ্জ্যারটেক যাওয়া-আসার কথা বলে এক হাজার টাকা ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশাতে উঠে আসামিরা।
সন্ধ্যার আগেই মইজ্জ্যারটেক পৌছানোর পর আসামিরা জরুরি কাজের কথা বলে অনুরোধ করে আবাসিকের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে পৌছামাত্র তারা চালকের মুখে গামছা গুঁজে দিয়ে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে তাকে মারধর করে। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সুযোগ বুঝে সিএনজি অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
অনেক চেষ্টার পরও চুরি যাওয়া সিএনজিটির কোন খোঁজ না পেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিএমপির কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন সিএনজির মালিক মিজানুর রহমান (২৯)।
এতে দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। যার মামলা নং-৩৮/০৯। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই থানা পুলিশের জালে ধরা পড়ে ২ আসামি।
গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ওসি মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, চালককে মারধর করে সিএনজি ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা তদন্ত শুরু করে টিম কর্ণফুলী।
সোমবার রাতে দুই আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাঁশখালীর বৈলছড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় এজাহারভূক্ত দুই আসামি গ্রেফতার হয়।
তবে ছিনতাইকৃত সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করা যায়নি। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িটি উদ্ধার করার জন্য জোর প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছে পুলিশ,এমনটাই জানালেন ওসি মনির হোসেন।