25.5 C
Chittagong
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামনিষেধাজ্ঞা শেষে স্বপ্ন বুনতে সাগরে চট্টগ্রামের জেলেরা

নিষেধাজ্ঞা শেষে স্বপ্ন বুনতে সাগরে চট্টগ্রামের জেলেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের উপকূলীয় জেলার সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার রাত ১২টায়। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে মাছ শিকারের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন উপকূলের জেলেরা।

বুধবার ভোর থেকে মাছ ধরার নৌকা, জাল, ও শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে সাগরে ছুটছেন তারা। কাঙ্ক্ষিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ধারদেনা পরিশোধ করে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা তাদের।

সাগরে মাছের প্রজনন, সংরক্ষণ ও উৎপাদনের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার কয়েক লাখ জেলে সাগরে যাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন মৎস্যঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটের জেলে নবীন দাস, রহমত উল্লাহ, স্বাধীন, লোকমান ও মিজান মাঝি জানান, ‘মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা মেনে আমরা সাগরে মাছ ধরতে যাইনি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। আমরা ফিশিং বোট, জাল ও মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে সাগরে যাচ্ছি।

কাট্টলি ঘাটের জেলে আজিম ও শিমুল জানান, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় আয়-রোজগার না থাকায় ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে চাল পেয়েও সংসার চালাতে কষ্ট হয়েছে।

বাঁশখালী উপজেলার লিয়াকত, রহিম, উম্মেশ ও আশিক মাঝি জানান, ‘সবার জেলেকার্ড থাকলেও সরকারিভাবে বরাদ্দ চাল পাইনি। অনেক কষ্টে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি চাল পাই না আমরা।’

সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার মনিরুল ও জাহাঙ্গীর জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের পাইকারি আড়ৎ থেকে দাদন এনে দিয়েছেন। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সাগরে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ শিকার করে আসলে তাদের বেচা বিক্রি জমে উঠবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, জেলেরা সাগরে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ শিকার করে হাসি মুখে তীরে ফিরবেন। বিগত দিনের ধারদেনা পরিশোধ করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তারা।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তা কেবল চট্টগ্রামের ২৫৫টি ফিশিং বোটের জন্য বলবত ছিল। পরে ২০১৯ সাল থেকে সাগরে মাছ আহরণের জন্য ব্যবহৃত যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এর প্রতিবাদে জেলেরা আন্দোলন করলেও নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকে। এতে চরম বিপাকে পড়েন এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলে পরিবার, ট্রলার মালিক-শ্রমিক, আড়তদার, দাদনদার, বরফকলের সঙ্গে সম্পৃক্তসহ জাল প্রস্তুতকারী, তেল সরবরাহকারী, খাবার সরবরাহকারী লাখ লাখ পরিবার।