23.3 C
Chittagong
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদঅর্থ-বাণিজ্যপাইকারিতে কমলেও পেঁয়াজের দামে পরিবর্তন নেই খুচরায়

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি, মাছ-মাংস

পাইকারিতে কমলেও পেঁয়াজের দামে পরিবর্তন নেই খুচরায়

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক :

দেশে গেল কয়েকমাস ধরে বাজার সিন্ডিকেট ও আমদানির জন্য শুধু একটি বাজারের ওপর নির্ভরতার কারণে চড়া ছিলো নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলাজাত পণ্য পেঁয়াজের দাম।

তবে ভারত ছাড়া চীন ও পাকিস্তানের বাজার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি।

তাছাড়া এ সপ্তাহের বাজারে সবজি, মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে বন্যার অজুহাতে কিছুটা দাম বেড়েছে চালের।

জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি করা হতো। কিন্তু মাঝেমধ্যে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কিংবা ন্যূনতম দর বেঁধে দেয়।

এতে করে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। লাগামহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। বর্তমানে ভারতের পাশাপাশি চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম কমে দেশীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৯৫-১০৭, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯৭-৯৯, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৯২-৯৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকালে বেশকয়েকটি বাজারে সরেজমিনে গেলে ব্যবসায়ীদের কথায় এসব তথ্য জানা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতনির্ভরতা থাকায় এতদিন মসলাজাত এ পণ্যের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ছিল। তাছাড়া গুটিকয়েক আমদানিকারকের কারণে পেঁয়াজের বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করত।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ভারতনির্ভরতা কাটানো গেলে পেঁয়াজ ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব হবে।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি পেঁয়াজ বি্রেতা রহমতউল্লাহ বলেন, গত এক সপ্তাহে দুবার পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের কেজিতে ৮ টাকা কমেছে।

তবে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। উল্টো বাড়তি দাম দিয়ে কেনার অজুহাতে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

তাদের ভাষ্য, বাড়তি দামে কিনে বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী বিক্রি করলে কেজিপ্রতি ৫ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হবে।

চালের বাজার ঘুরে চড়া ভাব দেখা গেছে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও আগে থেকে চড়ে থাকা চালের বাজারে আবার চড়া ভাব তৈরি হয়েছে। মোটা জাতের প্রতি কেজি ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকার মধ্যে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ টাকা বেশি।

আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ৬৫ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সরু জাতের নাজিরশাইল ৭০-৮৫ ও মিনিকেট নামে বিক্রি করা চালের দাম ৭২-৮০ টাকা। এ দুটি জাতের চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল থেকে পর্যাপ্ত চাল পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের কয়েকটি জেলা বন্যাকবলিত হওয়ায় মিল ও চালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চালের বাজারে প্রভাব পড়েছে।

সবজি, মাছ ও মাংসের দাম গত সপ্তাহে যা ছিল, এ সপ্তাহেও তাই দেখা গেছে। এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২৫-৩০ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৭০, সোনালি মুরগি ২২০-২৩০ ও খাঁটি পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ভোক্তাকে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৫৫ টাকায়।