পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধ্যা উদ্ধারে ঘঠনাস্থলে যাচ্ছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম।
এর আগে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী ডুবুরি দল। একইসাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, দীর্ঘসময় ফেরি উল্টে গিয়ে এর বেশকিছু অংশ পানির ওপরে ভাসমান ছিল। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস এর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে উদ্ধারে ব্যবহৃত সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে বলেও জানায় তারা।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ-আইএসপিআর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নং ঘাটের কাছে বাল্কহেডের ধাক্কায় রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরি ডুবে যায়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকালে পাটুরিয়া ৫ নং ঘাটের কাছে বাল্কহেডের ধাক্কায় রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরি ডুবে গেছে। ফেরিতে ৭টি ছোটো ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিল।
তিনি আরও বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
যা বুধবার সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান জানান, রাত থেকেই এ নৌ-রুটে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। এতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরে রাত দেড়টার দিকে কুয়াশার মাত্রা আরও ঘন হয়।
এতে ফেরি চলাচলের মার্কিং পয়েন্ট ও বিকনবাতির কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এ সময় দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।