12.4 C
Chittagong
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদখেলাধুলাশ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে প্রথম জয় কুমিল্লার

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে প্রথম জয় কুমিল্লার

খেলাধুলা ডেস্ক :

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রানের সমীকরণ মিলিয়ে কুমিল্লাকে জয় এনে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাথু ফোর্ড। হারের লজ্জা পেল তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর বরিশাল।

মঙ্গলবার রাতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বরিশাল। রানের খাতা খোলার আগেই কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলামের শিকার হন ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

তিন নম্বরে নামা প্রীতম কুমারকে ৮ রানে থামান ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার রোস্টন চেজ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় রানের চাকা সচল রাখলে, বড় ইনিংস খেলতে পরেননি ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চেজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১৬ বলে ১৯ রানে থামেন তামিম।

৪৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর বরিশালকে সামনে টেনেছেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৩০ রানে জীবন পেয়েও ৩১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রানে আউট হন সৌম্য। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সাথে ৪৫ বলে ৬৬ রান যোগ করেন সৌম্য।

সৌম্য ফেরার পর পাকিস্তানের শোয়েব মালিক ৭ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪ রানে আউট হলে বরিশালকে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬১ রানের সংগ্রহ এনে দেন মুশফিক। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ বলে ৬২ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন তিনি। গতকাল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৮ রান করেছিলেন মুশফিক।

কুমিল্লার মুস্তাফিজুর রহমান ৩টি, চেজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাথু ফোডর্ ২টি করে উইকেট নেন।

১৬২ রান তাড়া করতে নেমে বরিশালের শ্রীলংকান স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগের ঘুর্ণিতে পড়ে ৮১ রানে ৪ উইকেট হারায় কুমিল্লা। পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১৮, তাওহিদ হৃদয়কে শূণ্য ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেজক ১৩ রানে শিকার করেন ওয়েলালাগে। অধিনায়ক লিটন দাসকে ১৩ রানে থামান পেসার খালেদ আহমেদ।

সতীর্থরা ব্যর্থ হলেও দলকে লড়াই রাখেন ইমরুল কায়েস। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৪১ বলের মোকাবেলায় ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ওভার বাউন্ডারিতে ৫২ রান করে আউট হন তিনি।

ইমরুল যখন ফিরেন তখন কুমিল্লার জিততে ২১ বলে ৪৬ রান দরকার ছিল। এরপর জাকের আলি দুটি ছক্কা ও পাকিস্তানের খুশদিল শাহর ২টি চারে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রানের সমীকরণ দাঁড় করায় কুমিল্লা।

খালেদের করা শেষ ওভারে প্রথম বলে খুশদিল রান আউট হলেও দ্বিতীয় বলে ২ রান নেন ক্রিজে নতুন ব্যাটার ফোর্ড। এরপর তৃতীয় বলে ছক্কা ও চতুর্থ বলে চার মারেন ফোর্ড। পঞ্চম বলে বাকী ১ রান নিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন ফোর্ড।

জাকের ২০ বলে ২৩ ও ফোর্ড ৪ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের ওয়েলালাগে ৩ উইকেট নেন।