13.4 C
Chittagong
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামসকল জল্পনা কল্পনা শেষে চালু হচ্ছে বাকলিয়া এক্সেস রোড

সকল জল্পনা কল্পনা শেষে চালু হচ্ছে বাকলিয়া এক্সেস রোড

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন বালিয়া এক্সেস রোড প্রকল্প ২০১৯ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৩শ মিটার অংশের কাজ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। শুধু একটি ভবন নিয়েই অনেক জলঘোলা হয়। অবশেষে বাকলিয়া এক্সেস রোডের কাজ সম্পন্ন হলো।

উদ্বোধন না হলেও রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অনেকে গন্তব্যে ছুটছেন। সৌন্দর্য বর্ধনসহ আর কিছু কাজ শেষে এমাসে সেটি যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে।

এরমধ্যে সড়কটিতে গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় এলাকায় স্বস্থি বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম নগরের ঘনবসতিপূর্ণ বৃহত্তর বাকলিয়ায় কমে আসছে যানজট। খুব সহজে এই সড়ক হয়ে প্রতিদিন অনেকে গন্তব্যে ছুটছেন।

সড়কটি চালু হলে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা থেকে চকবাজারের মধ্যকার এবং মূল শহরের দক্ষিণমুখী মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো গতিশীল হবে।

বাকলিয়া এক্সেস রোড শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কের কালামিয়া বাজারের উত্তর পাশ থেকে শুরু হয়ে নবাব সিরাজুদ্দৌলা রোডের চন্দনপুরা মসজিদের উত্তর পাশে এসে মিলিত হয়েছে। ৬০ ফুট প্রশস্তের সড়কটিতে দুই পাশেই ড্রেন কাম ফুটপাত রাখা হয়েছে। আশপাশের এলাকাকে সংযুক্ত করতে ২০টি সংযোগ সড়কের সাথে যুক্ত করা হয়েছে সড়কটি।

বিতর্কিত একটি ১০ তলা ভবনের জন্য সড়কটির একশ’ মিটার অংশের কাজ প্রায় পাঁচ বছর ধরে আটকে ছিল। অবশেষে নতুন অ্যালাইনমেন্টে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। নগরের চন্দনপুরা থেকে কর্ণফুলী সেতু পর্যন্ত এক দশমিক ৬শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ বাকলিয়া এক্সেস রোড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২০৫ কোটি ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

সরজমিন দেখা যায়, ইতোমধ্যে রাস্তাটির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সেতুসহ যাবতীয় কাজ হয়ে গেছে। পিচ ঢালাইয়ের কিছু কাজ বাকি আছে। তা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। অবশ্য রাস্তার কাজ বাকি থাকলেও যান চলাচল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন অনেক গাড়ি এই রাস্তা ধরে চন্দনপুরা থেকে বাকলিয়া কিংবা শাহ আমানত সেতুর পাশ থেকে চন্দনপুরা হয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে।

কথা হয় সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস সাথে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নির্মাণে বেশ প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

আগামী জুনের মধ্যে সড়কটি যান চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটি নগরের বিস্তৃত এলাকার যান চলাচলে গতি আনবে বলে জানান তিনি।