চাকরির লোভে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং বৈধ নথিপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে ভারতের মুম্বাই ও তামিলনাড়ু থেকে মোট ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এনআরআই থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের মুম্বাই শহরে অবৈধভাবে থাকার জন্য ৭ নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সকলেই বাংলাদেশি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম উদয়বাণী এ খবর প্রকাশ করেছে।
গোপন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, এনআরআই থানার একটি টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাভি মুম্বাইয়ের ক্রেভ গ্রামে একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালায় এবং সেখানকার দুটি কক্ষ থেকে তাদের প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এনআরআই থানার ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা, যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেছিলেন তারা অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন। সেই সঙ্গে কোনও নথিপত্র ছাড়াই গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯৫০ এবং বিদেশি আইনের বিধানের অধীনে একটি মামলা করা হয়েছে, পুলিশ যোগ করে।
একই দিন ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে ছয় বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিরুপ্পুর জেলার একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ তিরুপ্পুরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে সবার আধারকার্ড ও অন্যান্য নথি যাচাই করে দেখা যায় ছয়জন বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা হলেন তানভীর (৩৯), রাশিব (৪৩), মোহাম্মদ আসলাম (৪১), মোহাম্মদ আল-ইসলাম (৩৭), মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৩০) এবং শোভন শেখ (৩৮)। তারা সবাই নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছয় বাংলাদেশিকে একটি নিটওয়্যার কারখানায় চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে মুধালিপালায়ামে নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু সেখানে তাদের চাকরি দেয়া হয়নি। পরে তারা পালাধামে আরেকটি কারখানায় চাকরি নেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।