শেখ হাসিনার সরকার পতন ও তার দেশত্যাগ করে ভারতে অবস্থানের পর থেকেই বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা পরিষেবা কার্যত বন্ধ রয়েছে।
বেশিরভাগ সময় জরুরি ক্ষেত্রেও ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্য কোনো ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
গতকাল রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপাতত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।”
আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ভারত। বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের বহু কর্মীকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে কিছুদিন পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠলে পুনরায় ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলো কাজ শুরু হলেও মিলছে না ভিসা পরিষেবা।
এমন অবস্থায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করে ভিসা না পেয়ে ঢাকার ভারতীয় ভিসা প্রদান কেন্দ্রে বিক্ষোভও দেখান অনেকে। এর জেরে ফের ব্যাহত হয় কাজ।
এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত।
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভিসা সেন্টার খুলছে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনায়।
তবে এখনই সকলে ভিসা পাবেন না। কেবলমাত্র যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে চান, তাদেরই জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া হবে অগ্রাধিকার।
আপাতত শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করা হবে।