ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিলেন ভ্যালেন্টিনা নাহর্না। যুদ্ধের নির্মমতায় অতিষ্ঠ হয়ে মনোবল ভেঙে যায়। অস্থির সেই সময়ে মাত্র কয়েক মাস আগেই যুদ্ধের মাঠে সামনের সারির সেনা ড্যানিল লিয়াশকেভিচের প্রেমে পড়েন তিনি। নিয়তির করুণ পরিহাস- রুশ হামলায় একসঙ্গে প্রাণ হারালেন দুজনেই।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার শেল হামলায় একসঙ্গে নিহত ইউক্রেনের চিকিৎসক ও সৈনিককে সম্মান জানাতে শোকার্ত জনতা মশাল মিছিল করেছে। এ সময় তারা সামরিক স্লোগান দেয়।
যুদ্ধের মাঠের সহযোগী বন্ধুরা বলেছেন, তারা দুজনেই তৃতীয় অ্যাসল্ট ব্রিগেডে কাজ করছিলেন। ৪ নভেম্বর নিহত হন তারা। যুদ্ধের কঠিন মির্মমতায় প্রেমই তাদের মানসিক শক্তি হয়ে ওঠে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কিয়েভে তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। সমবেত ইউক্রেনীয় সৈন্যরা তাদের উদ্দেশ্যে স্লোগান দিয়েছিল: ‘জীবনদায়ী আগুনে পোড়াও আমার হৃদয়ের দুর্বলতা। ভয়হীন, দ্বিধাহীন হও।’
কোস্টিল (যুদ্ধের ডাকনাম) নামের এক ইউক্রেনীয় সৈন্য বলেন, ভ্যালেন্টিনা নাহর্নার সঙ্গে সাক্ষাত ড্যানিল লিয়াশকেভিচকে তার জীবনের অন্ধকার সময় থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করেছিল। ‘অবশেষে সে এমন একজনকে খুঁজে পায়, যে তার সঙ্গেই যুদ্ধ করতে চেয়েছিল, যুদ্ধে তার নিকটে থাকতে চেয়েছিল। তবে এটাই তাদের শেষ সময় ছিল এবং এ যুদ্ধ থেকে কেউই নিরাপদ নয়।’