টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে ফেভারিট হিসেবেই খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও প্রতিপক্ষ ওমান শুরুতে কিছুটা চাপে রেখেছে তাদেরকে।
তবে সব চাপ জয় করে ঠিকই ৩৯ রানের অনায়াস জয় তুলে আসর শুরু করেছে মিচেল মার্শের দল। ব্যাটে-বলে তাদের জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় ব্রিজটাউনের কেনিংসটন ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মার্কাস স্টয়নিসের অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থামে ওমানের ইনিংস।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্ককে চার মেরে শুরু করেন ওপেনার কেশব প্রজাপতি। কিন্তু তৃতীয় বলেই আরেক ওপেনার প্রতিক আথাভালে ফিরে যান কোনো রান না করেই।
এরপর অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস এসে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন। কিন্তু পঞ্চম ওভারের ৫ম বলে ৭ রান করা প্রজাপতি ফিরে গেলে সেটা হয়নি।
জিশান মাকসুদ এসে জুটি বাঁধেন ইলিয়াসের সঙ্গে। স্টয়নিসকে ছক্কা মেরে পরিবেশ হালকা করার চেষ্টা করেন ওমান দলপতি।
কিন্তু এক বল পরই ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রান করা ইলিয়াস ফিরে গেলে বিপদে পড়ে ওমান। মাকসুদও ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর উইকেট হারানোর মিছিল চলতে থাকে ওমানের। একপ্রান্তে আগলে পড়ে থাকেন আয়ান খান। আক্রমণ চালিয়ে ৩০ বলে সমান ২টি করে চার ও ছক্কায় আয়ান ৩৬ করে কিছুটা আশা দেখালেও জয়ের ধারেকাছে যেতে পারেনি ওমান। শেষদিকে ২৭ রান করে হারের ব্যবধান কমান মেহরান খান।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্টয়নিস। ২টি করে উইকেট দখল করেন জশ হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পা ও মিচেল স্টার্ক। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন স্টয়নিস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলেন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে গিয়েই ১২ রানে ফিরে যান ট্রাভিস হেড।
এরপর মিচেল মার্শ ও ওয়ার্নার মিলে দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দারুণ চেপে ধরেছিলেন ওমানের বোলাররা।
অস্ট্রেলিয়ার দলীয় ৫০ রানের ঘর পার হতে বল খেলতে হয় ৪৮টি! দলীয় পঞ্চাশ পার হবার পরই ২১ বলে ১৪ রানের টেস্টসুলভ ইনিংস খেলে বিদায় নেন মিচেল মার্শ।
মার্শের বিদায়ের পর কোনো রান না করেই বিদায় নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। একপ্রান্তে তখন ওয়ানডে স্টাইলে খেলছিলেন ওয়ার্নার।
এরপর ওয়ার্নারের সঙ্গে এসে জুটিও বাঁধেন মার্কাস স্টয়নিস। দুজন মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
ওয়ার্নার ধীরেসুস্থে খেলে একপ্রান্তে সঙ্গ দিচ্ছিলেন, স্টয়নিস ঠিক তার বিপরীত। একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে মাতিয়ে তোলেন গ্যালারি। দুজন মিলে দলীয় একশ পার করেন।
মারকাটারি ব্যাটিং চালিয়ে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন স্টয়নিস। খ্যানিকবাদে ওয়ার্নারও ফিফটি করেন ৪৬ বলে।
১৮.৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়া পার হয় দেড়শ রানের ঘর। চতুর্থ উইকেটে ওয়ার্নার-স্টয়নিস মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি, বল খেলেন ৬২টি। ওয়ার্নার ৫৬ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে জুটি।
এরপর ক্রিজে এসে ৪ বলে ৯ রানের ছোট্ট ক্যামিও খেলেন টিম ডেভিড। তাতেই সম্মানজনক পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে।