চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, নগরীর চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে যেসব গোডাউন রয়েছে, এখন থেকে সব গোডাউনের তথ্য নেওয়া হবে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমদানিকারকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সব গোডাউনের তথ্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবো। তালিকা ছাড়া কোনও গোডাউনে মালামাল পেলে সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে জব্দ করবো।
তিনি বলেন, শুধু পেঁয়াজের ক্ষেত্রে নয়, চিনির ক্ষেত্রেও আমরা সব তথ্য চাইবো। সব কাগজে কলমে থাকতে হবে। কাগজপত্রহীন কোনও কিছুই আমরা ছাড় দিবো না।
১২০-১২৫ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করার অনুরোধ জানিয়ে ব্যবসায়িদের উদ্দ্যেশে জেলা প্রশাসক বলেন, গোডাউনে মালামাল যতই থাকুক না কেন, আমরা সেটির রশিদ চাইবো। রশিদ ছাড়া কোনও মালামাল পাওয়া গেলে সেগুলো আমরা নিলামে ন্যায্যমূল্যে জনসাধারণের মাঝে বিক্রি করে দিবো। বর্ডারে কারা এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিবো।
চট্টগ্রামের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সঙ্গে ১০ কেজি কিংবা ৫ কেজি কিনে নিয়ে যাবেন-এটি কাম্য নয়। অন্যজনকে সুযোগ করে দিন। তাহলে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ স্বপন বলেন, দুই-একজন ব্যবসায়ীর জন্য ব্যবসায়ী সমাজ কলঙ্কিত হবে না। তাদের অপকর্মের দায় আমরা নিব না।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পেঁয়াজের বাজার বর্ডারকেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ হয়। সেখানে আমাদের হাত থাকে না। বর্ডার থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে, সে অনুযায়ী আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করি।
বর্ডারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী যাদের ভালো সম্পর্ক, তারাই এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার চাইলেই তাদের এ সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে।